প্রতিকুলতাই এদেশের নারীদের মাঝে লিডারশিপের জন্ম দিচ্ছে- অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন
Ads rc="//www.topcreativeformat.com/b7ea4c0901a324c6d4dd0e95e798b537/invoke.js">
নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশ এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে, ফলে নারীর ক্ষমতায়নে, নারী উন্নয়নে বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় একেবারে শীর্ষে। এমন কি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নারীদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা বেড়েছে কয়েকগুন। ২০১১ সালে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার হার ছিল ৪৬ শতাংশ যা বর্তমানে ৭১ শতাংশ। মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্প্রসারণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও করনীয় বিষয়ক জ্ঞান এবং অগ্রগতির তুলনামূলক কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, তৃণমূলের ছাত্রীরা এখন নিজেদের গন্ডি ভেংগে সৃজনশীলতা, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ ও তথ্য যোগাযোগে দারুণভাবে এগিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জে বাউবির কয়েকটি সেন্টার ভিজিট করি। এতে সব বয়সের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্য করার মতো। শনিবার রাজধানীর বনানীর হোটেল সারিনায় ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত উইমেন ইন লিডারশীপ সামিট ২০২৪ এ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) ও বিশিষ্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন এ সব কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তন নারীর ওপর যে প্রভাব ফেলে তার উপর তিনি দীর্ঘ বক্তৃতা দেন । ড. নাসরীন বলেন, শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নারী তার সহনশীলতা, চ্যালেঞ্জিং মানসিকতা ও লুকায়িত জ্ঞান দিয়ে বাধা মোকাবেলা করছেন। এর দরুণ, বাংলাদেশে সংকটকালীন নেতৃত্বে চলে আসতে পারছেন নারীরা। গত এক দশকে বাংলাদেশে নারীদের অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। আজকে আমার 'উইমেন ইন ক্লাইমেট চেঞ্জ আ্যডাপটেশন' সেশনে আপনাদের স্বত:স্ফুত অংশগ্রহণ আমাকে বিমোহিত করেছে। আমি আয়োজকদের অনুরোধ করবো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নারীরা যে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে তা স্টোরি টেলিং ও ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপিং এর মধ্য দিয়ে সহজভাবে উপ-অনুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রচার করতে।
দিনব্যাপী সামিটে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস উইমেন্স নেটওয়ার্কের মহাসচিব শায়লা ফারজানা, ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপ-অনুষ্ঠানিক প্রধান তামিম মোস্তফা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহসিন আলী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের মো. আব্দুর রহমান খান ও খালেদা আক্তার।
এ সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, সরকারী ও এনজিও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।