২০ ওভার নির্বিঘ্নে খেলেছেন দুই ওপেনার। তখন স্রেফ ২ ওভার কাটিয়ে দেওয়ার পালা। হঠাৎই যেন পাগলামো ভর করল সৌম্য সরকারের ওপর। বল উড়িয়ে ফেলতে চাইলেন যেন স্টেডিয়ামের বাইরে। কিন্তু উঠল শুধু আকাশে, জমল ফিল্ডারের হাতে। ভালো শুরুর পর আচমকা ধাক্কা!
সৌম্যকে হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৪৫। প্রথম ইনিংসের ৪৩ রানের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ৮৮ রানে।প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৬০ রান। দ্বিতীয় দিন চা-বিরতির পরপর অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় ২১৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে আরও বড় লিড না পাওয়ার হতাশা খানিকটা আড়াল হয়েছিল দুই ওপেনারের ব্যাটে। উইকেটের চ্যালেঞ্জ সামলে দলকে মোটামুটি ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য।
প্যাট কামিন্সকে দারুণ একটি চার মেরে শুরু করেছিলেন সৌম্য। তবে এরপরই ঢুকে যান খোলসে। উইকেট ও বোলিং বুঝে খেলছিলেন ধীরে-সুস্থে। নিজের সহজাত স্ট্রোক প্লে রেখে আঁকড়ে ছিলেন উইকেট।
কিন্তু দিনের ১১ বল বাকি থাকতে ওই ব্যাখ্যাতীত শট। উড়িয়ে মারতে চাইলেন অ্যাশটন অ্যাগারকে। মিড অন থেকে লং অনের দিকে অনেকটা ছুটে চারবারের চেষ্টায় বল হাতে জমালেন উসমান খাওয়াজা।
৭৪ মিনিটে ৫৩ বল খেলে ১৫ রানের ইনিংসে ছিল প্রচেষ্টার প্রতিফলন, কিন্তু শেষটা ভীষণ হতাশার।
নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম পার করে দিয়েছেন বাকি সময়টুকু। আরেক পাশে তামিম ইকবাল আস্থার প্রতিমূর্তি। দিন শেষে অপরাজিত ৭০ বলে ৩০ রানে।
সৌম্যর অমন বিদায়ে সামান্য ক্ষত থাকল বটে, তবে উইকেটে বুটের ক্ষত আরও বেশি। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৮৮ রানে এগিয়ে থাকা তাই বাড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বপ্নের পরিধি। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে যে অস্ট্রেলিয়াকে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬০
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২২ ওভারে ৪৫/১ (তামিম ৩০*, সৌম্য ১৫, তাইজুল ০*; হেইজেলউড ০/৩, কামিন্স ০/৫, লায়ন ০/১১, ম্যাক্সওয়েল ০/১৭, অ্যাগার ১/৯)